প্রীতম সাহা, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
ইংরেজি ‘জিনিয়াস’ শব্দটি যাদের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করা প্রীতম সাহা তাঁদের মধ্যে একজন। বুয়েটেই স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। সঙ্গে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। সপ্তাহের রবি ও সোমবার দুপুরে যিনি শিক্ষক, সেই প্রীতমকে সন্ধ্যাবেলায় দেখা যায় ছাত্রের ভূমিকায়। হাত নেড়ে, উচ্চ স্বরে, স্পষ্ট গলায় কথা বলেন তিনি। শিক্ষকতা পেশাটা যে উপভোগ করেন, বোঝা গেল।
চায়ে চুমুক দিয়ে কথা এগোয় প্রীতমের সঙ্গে। উচ্চমাধ্যমিকের পর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন দ্বিতীয়। সিজিপিএ চারে চারই চাই, এ সিদ্ধান্ত কি প্রথম বর্ষেই নিয়ে ফেলেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘প্রথম সেমিস্টারে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ছয়জন চার পেলাম। তখনই মনে হলো, এটাকে ধরে রাখতে হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টারে দেখা গেল, শুধু আমি একাই চার।’
বটে। যে ছেলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টানা প্রথম হয়েছেন, কলেজেও ছিলেন প্রথম সারিতে, তাঁর এমন ফলাফল অস্বাভাবিক নয়। তাহলে কি চারে চার পাওয়া তাঁর জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল? ‘আশপাশের প্রায় সবাই আমার সমান বা আমার চেয়ে বেশি মেধাবী। এ কারণে কাজটা খুবই কঠিন ছিল। একবার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্সে ক্লাস টেস্টে শূন্য পেয়েছিলাম, আরেকবার গণিতের একটি ক্লাস টেস্টে শিশুতোষ গাধামি করে ৫ পেয়েছিলাম। ইনফরমেশন সিস্টেম ডিজাইনের কোর্সের টার্ম ফাইনালে ২৮০ নম্বরের মধ্যে প্রায় ৩৫ নম্বর আমি উত্তরই করতে পারিনি। তবে সব সময় যেটা চেষ্টা করেছি, আমি যতটুকু উত্তর করব, সেটুকুই যেন ঠিক হয়। শিক্ষক যেন নম্বর কাটার সুযোগ না পান।’ কথা শুনে মনে হলো, প্রকৌশলী প্রীতম পড়ালেখায় কৌশলী ছিলেন বলেই সব সময় ভালো ফল ধরে রাখতে পেরেছেন।
ইংরেজি ‘জিনিয়াস’ শব্দটি যাদের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করা প্রীতম সাহা তাঁদের মধ্যে একজন। বুয়েটেই স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। সঙ্গে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। সপ্তাহের রবি ও সোমবার দুপুরে যিনি শিক্ষক, সেই প্রীতমকে সন্ধ্যাবেলায় দেখা যায় ছাত্রের ভূমিকায়। হাত নেড়ে, উচ্চ স্বরে, স্পষ্ট গলায় কথা বলেন তিনি। শিক্ষকতা পেশাটা যে উপভোগ করেন, বোঝা গেল।
চায়ে চুমুক দিয়ে কথা এগোয় প্রীতমের সঙ্গে। উচ্চমাধ্যমিকের পর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন দ্বিতীয়। সিজিপিএ চারে চারই চাই, এ সিদ্ধান্ত কি প্রথম বর্ষেই নিয়ে ফেলেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘প্রথম সেমিস্টারে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ছয়জন চার পেলাম। তখনই মনে হলো, এটাকে ধরে রাখতে হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টারে দেখা গেল, শুধু আমি একাই চার।’
বটে। যে ছেলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টানা প্রথম হয়েছেন, কলেজেও ছিলেন প্রথম সারিতে, তাঁর এমন ফলাফল অস্বাভাবিক নয়। তাহলে কি চারে চার পাওয়া তাঁর জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল? ‘আশপাশের প্রায় সবাই আমার সমান বা আমার চেয়ে বেশি মেধাবী। এ কারণে কাজটা খুবই কঠিন ছিল। একবার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্সে ক্লাস টেস্টে শূন্য পেয়েছিলাম, আরেকবার গণিতের একটি ক্লাস টেস্টে শিশুতোষ গাধামি করে ৫ পেয়েছিলাম। ইনফরমেশন সিস্টেম ডিজাইনের কোর্সের টার্ম ফাইনালে ২৮০ নম্বরের মধ্যে প্রায় ৩৫ নম্বর আমি উত্তরই করতে পারিনি। তবে সব সময় যেটা চেষ্টা করেছি, আমি যতটুকু উত্তর করব, সেটুকুই যেন ঠিক হয়। শিক্ষক যেন নম্বর কাটার সুযোগ না পান।’ কথা শুনে মনে হলো, প্রকৌশলী প্রীতম পড়ালেখায় কৌশলী ছিলেন বলেই সব সময় ভালো ফল ধরে রাখতে পেরেছেন।
কখনো কখনো পরীক্ষা দিয়ে প্রীতমের মনে হয়েছে, এবার বোধ হয়
আর জিপিএ ৪ পাওয়া হবে না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয়
সেমিস্টারটা তাঁর জন্য খুব কঠিন ছিল। প্রীতম বলেন, ‘প্রতি টার্মে ১৪
সপ্তাহের ক্লাস চলাকালীন আমাদের অনেকগুলো ল্যাব ওয়ার্ক করতে হয়। বেশ কয়েকটি
ল্যাব ওয়ার্কে আমি প্রায় কিছুই পারছিলাম না। খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। শেষে
আমাদের বিভাগের তখনকার চেয়ারপারসন সোহেল স্যার আমাকে ডেকে একদিন আমার সঙ্গে
কথা বললেন।’ প্রীতম মনে করেন, প্রথমবার ৪ পাওয়া সহজ, কিন্তু এরপর সেটাকে
ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন। প্রতিটা টার্ম পরীক্ষার সময় নাকি প্রীতম এতটাই
আতঙ্কে থাকতেন, তাঁর মাথার চুল পড়ার হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেত!
প্রীতম সাহা এরই মধ্যে গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হয়ে ঘুরে এসেছেন
আয়ারল্যান্ড। উচ্চশিক্ষার জন্য ভবিষ্যতে ভিনদেশে যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর আছে।
আপনার কাছে জীবনে ভালো কিছু করার মন্ত্র কী? প্রশ্ন করতেই
দুটি সূত্র শিখিয়ে দিলেন। ধৈর্য আর কাজের প্রতি আত্মনিবেদন। যে ‘জিনিয়াস’
শব্দটি দিয়ে শুরু করেছিলাম, প্রীতম নিজেকে মোটেও সেই রকম মনে করেন না। এ
শব্দটিতেই বিশ্বাস করেন না তিনি। বরং তাঁর বিশ্বাস, ধৈর্য আর কাজের প্রতি
আত্মনিবেদন থাকলে যে কেউই সফল হতে পারে। ‘জিনিয়াস’ হওয়াটা জরুরি নয়।
Comments
Post a Comment