Skip to main content

Posts

মনে মনে বলতাম ওটাই আমার জায়গা : রণবীর সিং

Recent posts

‘আগ্রহই আপনাকে পথ দেখাবে’

আকতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান। একেবারে তরুণ বয়সেই তিনি আকতার ফার্নিশার্স লিমিটেড, আকতার ফোম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মতো বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। বলেছেন ব্যবসার চ্যালেঞ্জ, আনন্দ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল্লাহ আকতার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আপনার বাবা কে এম আকতারুজ্জামান। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের পরিধি আরও বড় হয়েছে। আরও বিভিন্ন উদ্যোগ আপনি নিয়েছেন। একটা প্রজন্মের পর যখন আরেকটা নতুন প্রজন্ম আসে, সেই প্রজন্মের নিজের কিছু ইচ্ছে থাকে, স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নগুলো সে পূরণ করতে চায়। আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন ১৯৭৬ সালে, ব্যবসা শুরু করেছেন তারও আগে। সেখান থেকে বাবা অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক কিছু শিখেছেন, অর্জন করেছেন, সফল হয়েছেন। আমার বাবা দেশে পড়ালেখা করেছেন, আমি পড়েছি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ফোয়েনিক্সে। বিদেশে থাকার কারণে হয়তো আমার ভাবনায় কিছুটা ভিন্নতা ছিল। আমি আমার ভাবনার প্রতিফলন প্রতিষ্ঠানে দেখতে চেয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুতে আপনি কোন পরিবর্তনটা আনতে চেয়েছিলেন? বিদেশ থেকে ...

বিসিএস স্বপ্ন জয়ের গল্প

  সুশান্ত পাল   প্রথম স্থান অধিকারী   ৩০তম বিসিএসের (কাস্টমস) 

নীতিমালার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাবি

অভিবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রণয়ন নামের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই দল ‘তা বলুন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুভূতি কেমন?’ ‘ভালো। কিন্তু অনেক ঝামেলা!’ মোস্তফা হাসান অনুভূতি জানালেন। দলের অন্য সদস্যরা শুরু করলেন চেঁচামেচি। ‘তোর শাসনামল ভালো ছিল না।’ ‘আমার শাসনামল ভালো ছিল।’ লেগে গেল বিতর্ক। কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। ওদিকে ওয়াসেক বিল্লাহ চুপচাপ। তাঁর যে প্রধানমন্ত্রী হওয়াই হলো না! অবশ্য তাঁর ভাষায়, তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও একটা ভালো পদ পেয়েছিলেন—আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি। যাই হোক, অবশেষে পাঁচজনের দলগত সিদ্ধান্তে জানা গেল, মারিয়ার শাসনামলই ছিল সবচেয়ে ভালো। কী সেই শাসনামল? কখন, কোথায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হলেন? চলুন, গল্প শুরু করা যাক। মোস্তফা হাসান, মারিয়া মারজুকা, সায়মা রহমান, ওয়াসেক বিল্লাহ ও রবিউল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তাঁরা ‘অভিবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতায় চার দেশের আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এটি ছিল রিজিওনাল বা আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন...

জিনিয়াস হওয়া জরুরি নয়

প্রীতম সাহা , শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ইংরেজি ‘জিনিয়াস’ শব্দটি যাদের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করা প্রীতম সাহা তাঁদের মধ্যে একজন। বুয়েটেই স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। সঙ্গে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। সপ্তাহের রবি ও সোমবার দুপুরে যিনি শিক্ষক, সেই প্রীতমকে সন্ধ্যাবেলায় দেখা যায় ছাত্রের ভূমিকায়। হাত নেড়ে, উচ্চ স্বরে, স্পষ্ট গলায় কথা বলেন তিনি। শিক্ষকতা পেশাটা যে উপভোগ করেন, বোঝা গেল। চায়ে চুমুক দিয়ে কথা এগোয় প্রীতমের সঙ্গে। উচ্চমাধ্যমিকের পর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন দ্বিতীয়। সিজিপিএ চারে চারই চাই, এ সিদ্ধান্ত কি প্রথম বর্ষেই নিয়ে ফেলেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘প্রথম সেমিস্টারে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ছয়জন চার পেলাম। তখনই মনে হলো, এটাকে ধরে রাখতে হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টারে দেখা গেল, শুধু আমি একাই চার।’ বটে। যে ছেলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টানা প্রথম হয়েছেন, কলেজেও ছিলেন প্রথম ...

কোনো বাধাই যাঁকে দমাতে পারেনি

শায়ান শাহরিয়ারের মা চেয়েছিলেন একমাত্র সন্তান ডাক্তার হোক, বাবা চেয়েছিলেন ছেলে যেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ২০১৪ সালের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও মেডিকেল—সব কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নামের তালিকায় শায়ানের রোল প্রথম দিকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ভর্তি হন এমন একটি বিষয়ে, যাতে চিকিৎসা ও প্রকৌশল—দুটি বিদ্যারই সংমিশ্রণ ঘটে। আর তা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি)। কদিন আগেই প্রকাশিত ফলে জানা গেছে, স্নাতকে তাঁর সিজিপিএ–৪। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু থেকেই মন দিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রথম মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস নামে একটি জটিল ও বিরল রোগে আক্রান্ত হন তিনি। সিঙ্গাপুর গিয়ে অপারেশন করিয়েছেন। অপারেশনের পর, ঘা শুকানোর আগেই ১৭ দিনের মাথায় ক্লাসে পা রেখেছেন তিনি। এখন কেমন আছেন? জানালেন, আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। তবে এখনো ‘ডবল ভিশন’ (দুটি প্রতিবিম্ব) দেখতে পান। অসুখের কারণে অল্পতেই ক্লান্ত বোধ করার কথা, কিন্তু শায়ানের নাকি ক্লান্ত লাগে না! শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বলে প্রতিদিন...

পড়ায় ভালো, লেখায়ও ভালো

শাহরোজা নাহরিনের ঘরে ঢুকতেই ছোটখাটো একটা ধাক্কা খেলাম। ঘর না বলে বরং লাইব্রেরি বলা ভালো, যে লাইব্রেরিতে এক কোণে শোয়ার ব্যবস্থাও আছে! শাহরোজা জানালেন, তাঁদের পুরো পরিবার লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র তিন গোয়েন্দার লেখক ও অনুবাদক রকিব হাসান সম্পর্কে তাঁর ফুফা হন। বাবা রহস্য পত্রিকার নিয়মিত লেখক। শাহরোজা নিজেও লেখালেখি করেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক করেছেন তিনি। পেয়েছেন সিজিপিএ–৪। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একসময় সংশয় ছিল তাঁর মনে। সেই তিনি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে সবচেয়ে ভালো ফল করে স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। কীভাবে? বুয়েটে স্থাপত্য নিয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল শাহরোজার। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন, চান্সও পেলেন। কিন্তু বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে এত খরচ বহন করা সম্ভব নয়। অগত্যা নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছিলেন শাহরোজা নাহরিন। ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হওয়ার আগেই চাকরি নেন পাঞ্জেরী ...